শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৩ অপরাহ্ন
বিডিনিউজ: সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সন্তানের পড়ালেখায় মনোযোগ বাড়াতে কিছু বিষয় খেয়াল রাখা দরকার।
লকডাউনে শিথিলতা আসলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আপাতত খুলছে না। এই পরিস্থিতিতে অনেক ক্ষেত্রেই চলছে অনলাইন ক্লাস।
তবে অনলাইন ক্লাসে উপস্থিত হলেও সন্তানকে পড়তে বসাতে বেগ পেতে হচ্ছে প্রায় সকল বাবা-মাকেই।
এই পরিস্থিতি কিছুটা সহজ করার উপায় নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন ভারতীয় প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষামুলক ‘অ্যাপ’ ‘বাইযু’স লার্নিং অ্যাপ’য়ের ‘চিফ স্ট্র্যাটেজি অফিসার’ আঙ্কিতা কিশোর, যা উঠে আসে শিক্ষামূলক একটি ওয়েবাসাইটের পাতায়। সেই প্রতিবেদন অবলম্বনে জানানো হল বিস্তারিত।
পড়ার নির্দিষ্ট স্থান: সারাদিন ঘরে বন্দি থেকে পড়াশোনার মনোযোগ ধরে রাখা সহজ কথা নয়। তাই ঘরের একটি নির্দিষ্ট স্থান বেছে নিতে হবে পড়ার জন্য, যেখানে নিরিবিলিতে পড়ায় মনোযোগ দেওয়া যায়। আর বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে সেখানে ভালোমানের ইন্টারনেট সংযোগও থাকা চাই।
বিষয়বস্তুর ওপর দখল বাড়ানো: শিক্ষার্থীদের হাতে এখন অফুরন্ত সময়, যার বেশিরভাগই হয়ত অপচয় হয়ে যাচ্ছে হতাশায়। তবে পরিস্থিতিকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখতে হবে। বিভিন্ন বিষয়ের যে কঠিন অংশগুলো রপ্ত করা হয়নি তা এখন সময় নিয়ে অনুশীলন করার সুযোগ আছে। এজন্য বিষয়বস্তু আরও ভালোভাবে বুঝতে হবে। বোঝার ঘাটতি থাকলে নিঃসংকোচে প্রশ্ন করতে হবে শিক্ষকদের। ক্লাস, কোচিং, প্রাইভেট, পরীক্ষার চাপ এখন নেই। তাই ইন্টারনেট ঘেটে বিভিন্ন বিষয়ে বাড়তি জ্ঞান অর্জন করার সুযোগ আছে।
ভিডিও দেখা: বিশেষজ্ঞরা বলেন, পড়ে শেখার চাইতে দেখে শেখা দ্রুততর। কারণ চাক্ষুস কোনো ঘটনা থেকে মস্তিষ্ক ৬০ হাজার গুন দ্রুত গতিতে জ্ঞান আহরণ করতে পারে। আর বই পড়ার চাইতে ভিডিও দেখা তুলনামূলক বেশি মজাদার একথা অনেকেই নিশ্চয়ই স্বীকার করবেন। বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে অসংখ্য শিক্ষামূলক ভিডিও আছে যা শেখার প্রক্রিয়াকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে, আগ্রহ বাড়ায়। বোঝানোর পদ্ধতির ওপর জ্ঞান অর্জন অনেকটা নির্ভরশীল। একই বিষয়কে বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন পদ্ধতিতে ব্যাখ্যা করে ভিডিও তৈরি করতে পারেন। ফলে আপনার হাতের মুঠোর আছে একাধিক শিক্ষক। এই অফুরন্ত সময়ে সব শিক্ষাকেই কাজে লাগানো সম্ভব।
রুটিন: পড়াশোনায় শৃঙ্খলা থাকা অত্যন্ত জরুরি। আর সেজন্য প্রথমেই পড়াশোনার রুটিন তৈরি করতে হবে। এই রুটিন হতে হবে বাস্তবমুখী এবং সেই রুটিন মেনে চলতে হবে প্রতিদিন, কঠোরভাবে। নতুন কিছু শেখা, তা অনুশীলন করা এবং তা পুনরালোচনা করা সবকিছুর জন্যই সময় ভাগ করা থাকতে হবে রুটিনে।
চারপাশ থেকে শিক্ষা নেওয়া: জ্ঞান অর্জনের প্রক্রিয়া শুধু বইয়ের পাতা থেকে পরীক্ষার খাতা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ নয়। দৈনন্দিন জীবনযাত্রা থেকেও শেখার আছে অনেক কিছু, যা ক্ষেত্র বিশেষ পাঠ্যবইয়ের জ্ঞান থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই চারপাশের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জানার আগ্রহ থাকতে হবে। প্রশ্ন করতে হবে। ইন্টারনেটে তা নিয়ে আরও জানার চেষ্টা করতে হবে। আর শুধু জানলেই হবে না, তা মাথায় রাখতে হলে লব্ধ জ্ঞানকে হাতেনাতে কাজে লাগানোর চেষ্টাও থাকতে হবে।
অনুশীলন, আরও অনুশীলন: নতুন কিছু শেখার পর তাতে দক্ষ হয়ে উঠতে অনুশীলনের বিকল্প নেই। যত বেশি অনুশীলন করা হবে, দক্ষতা ততই বাড়তে থাকবে। বারবার অনুশীলনে মাধ্যমে সেই কাজটি আরও সহজে করার পথও বের করে ফেলতে পারেন। তাই অনুশীলনেই বিকল্প নেই।
করোনাভাইরাসের কারণে জীবন থমকে গেলেও শেখার সুযোগ ফুরিয়ে যায়নি কখনই। তবে থাকতে হবে শেখার আগ্রহ, জ্ঞানের ক্ষুধা, সময় কাজে লাগানোর স্পৃহা।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply